ইউরোপের কোন সীমানা নেই,তারা কি বিক্রি হয়ে গেছে?
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের রেল চলাচলের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আমি ধীরে ধীরে (ভারতের সাথে) বন্ধ রেলপথ খুলছি। অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। আমরা কি বাংলাদেশে দরজা বন্ধ করে দেব? ইউরোপে, এক দেশের সাথে অন্য দেশের সীমানা নেই, তারা কি বিক্রি হয়ে গেছে? বরং তাদের যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে। ব্যবসা বেড়েছে। মঙ্গলবার সকালে গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বলে দেশ বিক্রি হচ্ছে, তাদের বলা উচিত বিক্রির ওজন কত? কিভাবে ওজন পরিমাপ করা হয়? আগে স্কেল দিয়ে মাপা হতো, এখন মেশিন দিয়ে মাপা হয়। এখন বিক্রি করব কিভাবে?
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন করেছি। যারা সমালোচনা করেন তাদের জানা উচিত, দেশ স্বাধীন করতে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুধু একটি জোট শক্তিই দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের সব মিত্রশক্তি যারা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল তারা সে দেশ ছেড়ে যায়নি। এরকম অনেক উদাহরণ আমরা দেখেছি। কিন্তু ভারত আমাদের মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছিল এবং জাতির পিতার ডাকে তারা আবার ফিরে আসে। তারপরও যারা কথা বলেন, তারা কী করে বলবেন যে তারা ভারতের কাছে বিক্রি হবে? আসলে যারা এটা বলে তারা নিজেরাই ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালাল।
ভারতে দুই দিনের সরকারি সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লি যান তিনি। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার পর এটিই কোনো সরকার প্রধানের ভারতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। এর বাইরে ১৫ দিনেরও কম সময়ে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার এটি দ্বিতীয় সফর। এর আগে, তিনি 9 জুন মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরের সময়, ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি পুনর্নবীকরণ সহ 10টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
What's Your Reaction?