কয়রা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে অরক্ষিত উপকূল
কয়রা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে অরক্ষিত উপকূল

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই খুলনার কয়রা উপজেলায় মানুষের ভিতরে শুরু হয় ভয় ও আতঙ্ক ।বেড়িবাঁধে ভাঙন ধরে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা নষ্ট হয় ঘরবাড়ি, ফসল । চলতি বছর বর্ষার আগেই কয়রার শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছেন পাঁচ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের বিষয়টি বারবার জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তাঁরা শুধু আশ্বাস দেন। ধসে যাওয়া বাঁধ মেরামতে কেউ উদ্যোগ নেন না।বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের জানালে তাঁরা নানা টালবাহানা করেন।এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও পাউবোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়রা রিং বাঁধ, ঘাটাখালী, হরিণখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট–সংলগ্ন এলাকা, মঠবাড়িয়া, ২ নম্বর কয়রা, হোগলা, গাজীপাড়া, গোলখালী, হাজতখালী, জোড়শিং ও মহেশপুর এলাকার প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীতে পানি বাড়লে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীতে পানি সরবরাহের আটটি জলকপাট (স্লুইসগেট) অকেজো পড়ে আছে। শাকবাড়িয়া নদীর নয়ানী ও সুতিয়া বাজার-সংলগ্ন জলকপাটটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
What's Your Reaction?






