'ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিং'-এর জন্য এবি ব্যাংকের 3.5 বিলিয়ন টাকার ঋণ অনুমোদনের তদন্ত করুন: হাইকোর্ট

বাংলাদেশসহ বিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, খেলা, বিনোদন, চাকরি, রাজনীতি ও বাণিজ্যের বাংলা নিউজ পড়তে ভিজিট করুন।

May 25, 2023 - 16:33
 0  0
'ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিং'-এর জন্য এবি ব্যাংকের 3.5 বিলিয়ন টাকার ঋণ অনুমোদনের তদন্ত করুন: হাইকোর্ট

“ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিং” নামে একটি অস্তিত্বহীন কোম্পানিকে এবি ব্যাংকের 3.5 বিলিয়ন টাকা ঋণ অনুমোদনের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (এইচসি) বুধবার।

তিন মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।

মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঋণ মঞ্জুরির অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব, বিএফআইইউ, সিআইইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)কে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি, এটি প্রকাশিত হয়েছে যে এবি ব্যাংক ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিং নামে একটি শেল কোম্পানির অনুকূলে 3.5 বিলিয়ন টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে। মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন নামে এক ব্যবসায়ী -- যিনি ইতোপূর্বে রাতে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন -- সেই ঋণের সুবিধাভোগী।


তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ঋণ জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পেরে এরই মধ্যে ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে।

শেল কোম্পানিগুলোর নামে ঋণ মঞ্জুর করার বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের কাছে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলী হায়দার রতনের বর্তমানে পাঁচটি ব্যাংকে ৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন টাকা ঋণ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কাজের বিপরীতে সন্দেহজনকভাবে নেওয়া এসব ঋণ এখন খেলাপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ “ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিং” নামে একটি স্বনামধন্য কোম্পানির নামে ৩.৫০ বিলিয়ন টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। ১০ জানুয়ারি ব্যাংকের গুলশান শাখায় ঋণের আবেদন আসে। আবেদনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হিসেবে মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও মোঃ মামুন রশিদকে দেখানো হয়েছে।

তবে এর ঠিকানা দিয়েছে রতন মালিকানাধীন ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন, যার অফিস ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে। আর অ্যাপ্লিকেশন প্যাডে ব্যবহৃত ই-মেইল ও ওয়েবসাইটটিও ব্র্যান্ডউইন নামের আরেকটি কোম্পানির মালিকানাধীন।

একই দিন এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তা গ্রাহকের ধানমন্ডি অফিস ও বাড়ির ঠিকানা পরিদর্শন করে পরিদর্শন প্রতিবেদন জমা দেন। গ্রাহক কোম্পানির নামে কখনো কোনো আমদানি না হলেও প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহক বিপুল পরিমাণ জ্বালানি, নির্মাণসামগ্রী, রাসায়নিক ও প্রয়োজনীয় খাদ্য আমদানি করেছেন।

এদিকে বিএফআইইউর প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানিটি গত বছরের জুনে নিবন্ধিত হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে এবি ব্যাংকের গুলশান শাখায় ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এর বাইরে কোনো লেনদেন নেই -- এমনকি আমদানি সম্পর্কিত -- এর বাইরে। তবে সম্পূর্ণ নতুন নিবন্ধিত কোম্পানিকে ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন দিয়ে বড় কোম্পানি হিসেবে দেখানো হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow