সৎ ভাইয়ের হাতে আগুন ধরিয়ে দিল স্কুলছাত্রী ও দাদি!

গাজীপুরের জয়দেবপুরে গতকাল বিকেলে নানীসহ এক স্কুলছাত্রীকে তার সৎ ভাই অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা আক্তার আয়েশা (১৩) তার জীবনের জন্য লড়াই করছেন। তার শরীরের ৫২ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
তার নানী বেবী বেগম (৫০) ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুপুর দেড়টার দিকে বাঘেরবাজার শিরিরচালা গ্রামে সানজিদা তার নানীর সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
সানজিদার বাবা শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মেয়েটির সৎ ভাই শুভ ও দুই নারীসহ তার কয়েকজন সহযোগী তাদের আটক করে তাদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা প্রথমে তাদের উদ্ধার করে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে গতকাল রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
শফিকুল জানান, ২০১৩ সালে সানজিদার মা ইভা ইসলাম মারা যাওয়ার পর ২০১৫ সালে শুভর মা মনিরাকে বিয়ে করেন।
"দুই ছেলে লাইনচ্যুত হওয়ায় আমি তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেই। গত মাসে মনিরাও আমাদের ছেড়ে চলে যায়, আমার বাসা থেকে ৯ লাখ টাকা চুরি করে এবং পরে আমাকে ডিভোর্স লেটার দিয়ে দেয়। পরে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি," শফিকুল বলেন। তিনি বলেন, মামলা করার জন্য শুভ ও তার সহযোগীরা তার মেয়ে ও তার মাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, "বুধবার শুভ, সানজিদাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধাক্কা দেয় এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়।"
এরপর তারা এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানান শফিকুল।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে সানজিদার বাবা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং পুলিশ অভিযুক্ত সাব্বিরকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
What's Your Reaction?






