এবার প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রতিবাদ সভা করছেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশকে বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
বুধবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে যৌথ প্রতিবাদ সভা করছেন সাবেক ও বর্তমান প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বৈঠকে কর্মকর্তাদের বক্তব্যে এ কথা উল্লেখ করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বৈঠক চলছিল।
সভায় বিপুল সংখ্যক প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা অংশ নেন। 'জনপ্রশাসনের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নির্দেশ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে এই বৈঠক ডেকেছেন সাবেক ও বর্তমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এই সভার আয়োজন করছে। এর আগে গত রোববার সচিবালয়ে বিশাল সমাবেশ করেছিলেন তারা। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সম্ভাব্য কিছু সুপারিশ সামনে আসার পর আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এ ধরনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে প্রশাসনিক ক্যাডারের পদোন্নতির কোটা কমে যাবে বলে ক্ষুব্ধ তারা। এ কারণে তারা সোচ্চার হয়েছেন।
অন্যদিকে পদ ও পদোন্নতির দাবিতে মঙ্গলবার এক ঘণ্টার ‘পজ’ দিয়ে গণআন্দোলন শুরু করেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে তারা।
সব প্রশাসনিক পদ প্রশাসনিক ক্যাডারের জন্য সংরক্ষিত রাখার দাবিতে রোববার সচিবালয়ে প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিশাল সমাবেশের একদিন পর এই 'বিরতি' কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের উপসচিব পদে কোটা প্রথা বাতিল, সচিবসহ নীতিনির্ধারণী পদে দায়িত্ব অর্পণের দাবিতে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত 'আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণ কাউন্সিল' কর্মসূচি পালন করেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিজ নিজ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য এবং সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। দাবি মানা না হলে আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান।
What's Your Reaction?