লোকসানের কারণে বিমানের ম্যানচেস্টার ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা
ম্যানচেস্টার-সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট থাকবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ৩১ মার্চের পর থেকে এ রুটে এয়ার টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় এ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে ওই রুটে ফ্লাইট চালু রাখতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট ২০১৯ সালের অক্টোবরে শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিমাসে গড়ে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এই রুটকে কীভাবে লাভজনক করা যায় তা পর্যালোচনা করছেন তারা।
বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে ভাড়া কম থাকায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে। নারিতা, জাপানে পরিচালিত ফ্লাইটগুলিও একই রকম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। পরে সেখানে সপ্তাহে তিনটির পরিবর্তে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় এবং ভাড়া কিছুটা বাড়ানো হয়। এতে বিমানের লোকসান কমাতে সাহায্য করেছে। এখন ম্যানচেস্টার ফ্লাইট নিয়ে কী করা যায় তা খতিয়ে দেখছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করা হবে কি না, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস একমাত্র এয়ারলাইন যা বাংলাদেশ থেকে ম্যানচেস্টারে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। আগে এই গন্তব্যে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হতো। গত অক্টোবর থেকে দুটি ফ্লাইট চলাচল করছে। এই রুটে অন্য এয়ারলাইন্সে উড়তে হলে অন্য দেশে ট্রানজিট করতে হয়। তাই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও ম্যানচেস্টার সিটির ওল্ডহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলর আবদুল জব্বার ওই রুটে ফ্লাইট চালু রাখার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসরিন জাহানকে পাঠানো এক চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সিনিয়র সচিব নাসরিন জাহান মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা এই রুট সম্পর্কে কি করা যায় তা বিবেচনা করছেন।
এদিকে আবদুল জব্বার মুঠোফোনে প্রথম আলো</em>কে বলেন, ম্যানচেস্টারে প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি থাকেন। সপ্তাহে দুটি ফ্লাইটে অন্তত ৫০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরেন। তার মানে প্রতি মাসে দুই হাজার মানুষ দেশে আসে। সরাসরি ফ্লাইটের কারণে প্রবাসীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই দেশে ফিরতে পারবেন। কিন্তু কোনো ঘোষণা ছাড়াই ৩১ মার্চের পর থেকে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা। তিনি এ রুটে ফ্লাইট চালু রাখার জোরালো দাবি জানান।
What's Your Reaction?