মহিলা এবং পেশাদার শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে

এডুকো পাথওয়েজ বাংলাদেশের সিইও টমাস পঙ্কজ গোমেজ, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে লিখেছেন।
আমি ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের সাথে যুক্ত। আমার অভিজ্ঞতায়, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো ইংরেজিভাষী দেশগুলি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারণে উন্নত শিক্ষার জন্য বিদেশে যাচ্ছে। অনেকেই বিশ্বমানের শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ এবং উন্নত জীবনযাত্রার সন্ধান করছে। এছাড়াও, দেশে বা আন্তর্জাতিকভাবে বিদেশী ডিগ্রি নিয়ে একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। আবার, গত কয়েক বছরে, বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বৃত্তি প্রদান করছে, যা মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগ্রহেরও একটি কারণ।
আগে, শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী বা প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেত। এখন, প্রায় সকল শিক্ষার্থীই বিদেশে পড়াশোনার আগ্রহ প্রকাশ করে। সুযোগও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আগে, শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং বা বেশি আলোচিত বিষয়ের জন্য আবেদন করত। এখন, স্বাস্থ্য, আইন, কম্পিউটার বা সমাজবিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
শুধু নামীদামী সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও এখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সচেতন। তারা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অনেকেই বিদেশে যেতে আগ্রহী, কিন্তু সামর্থ্য নেই। তারা সাধারণত কিছু সময় নিয়ে এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে তাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগও তৈরি হচ্ছে। ঢাকার বাইরের অনেক জেলার শিক্ষার্থীরাও উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে সচেতন। আমি তাদের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতেও দেখছি।
আরেকটি বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি যে, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে, তারা ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে যাচ্ছে। নারী শিক্ষার্থীদের এই উৎসাহের পিছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের বৃত্তি এবং আর্থিক সহায়তার সুযোগ বেড়েছে।
গত কয়েক বছরে আরেকটি নতুন প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে - পেশাদারদের বিদেশে মাস্টার্স করার প্রবণতা। অনেক তরুণ পেশাদার কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের পরে বিদেশে যাচ্ছেন। তারা মূলত তাদের ক্যারিয়ার উন্নত করতে বা নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে।
What's Your Reaction?






